ইস্তেখারার নামাজ

ইস্তেখারার নামাজ
ইস্তেখারা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা। সালাতুল ইস্তেখারা হলো, আল্লাহর নিকট কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা। কনো কিসু নিয়ে সিদ্ধান্তহিনতা থাকলে এই নামাজ পরা হয়। এই নামাজ খুব নিয়ামতপুর্ণ । এই নামাজটির নিয়ম হলো, দুই রাকাত নামাজ পড়বে তারপর নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা করবে অর্থা আল্লাহর হামদ পড়বে তারপর রাসুলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর দরূদ পড়বে। তারপর একটি দোয়া পড়বে যেটা নিম্নে দেওয়া হয়েছে।
হুকুম
ওলামায়ে কেরাম একমত যে, ইস্তিখারার নামাজ সুন্নাত। তার দলীল নিম্নের বোখারীর হাদীসটেমপ্লেট: ﺍﻗﺘﺒﺎﺱ ﺣﺪﻳﺚ [১]
ইস্তেখারার দোয়া
হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল আমাদিগকে আমাদের কাজকর্মের ব্যাপারে ইস্তিখারা করিবার তরীকা এরুপ গুরুত্বসহকারে শিক্ষা দিতেন যেরুপ গুরুত্ব সহকারে আমাদিগকে কুরআন মজীদের কোন সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, যখন তোমাদের কেহ কোন কাজ করিবার ইচ্ছা করে (আর সে উহার পরিণতি সম্পর্কে চিন্তিত হয়, তখন তাহার এইভাবে ইস্তেখারা করা উচিত যে,) সে প্রথমে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, এরপর এইভাবে দোয়া করবে –
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺘَﺨِﻴﺮُﻙَ ﺑِﻌِﻠﻤِﻚَ ﻭَﺃَﺳْﺘَﻘْﺪِﺭُﻙَ ﺑِﻘُﺪْﺭَﺗِﻚَ ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻠِﻚَ، ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺗَﻘْﺪِﺭُ ﻭَﻻَ ﺃَﻗْﺪِﺭُ ﻭَﺗَﻌْﻠَﻢُ ﻭَﻻَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﻋَﻼَّﻡُ ﺍﻟﻐُﻴُﻮﺏِ ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻷَﻣْﺮَ ﺛﻢ ﺗﺴﻤﻴﻪ ﺑﻌﻴﻨﻪ ﺧَﻴْﺮﺍ ﻟِﻲ ﻓﻲ ﻋَﺎﺟِﻞِ ﺃَﻣْﺮِﻱ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ ﻗﺎﻝ ﺃﻭ ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻲ ﻭَﻣَﻌَﺎﺷِﻲ ﻭَﻋَﺎﻗِﺒَﺔِ ﺃَﻣْﺮِﻱ ﻓَﺎﻗْﺪُﺭْﻩُ ﻟﻲ ﻭَﻳَﺴِّﺮْﻩُ ﻟﻲ ﺛُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻟﻲ ﻓِﻴﻪِ ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭَﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻧَّﻪ ﺷَﺮٌّ ﻟﻲ ﻓﻲ ﺩﻳﻨﻲ ﻭَﻣَﻌَﺎﺷِﻲ ﻭَﻋَﺎﻗِﺒَﺔِ ﺃَﻣْﺮِﻱ ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻝَ ﻓﻲ ﻋَﺎﺟِﻞِ ﺃﻣﺮﻱ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ ، ﻓَﺎﺻْﺮِﻓْﻨِﻲ ﻋَﻨْﻪُ ‏[ ﻭﺍﺻْﺮِﻓْﻪُ ﻋَﻨِّﻰ ‏] ، ﻭَﺍﻗْﺪُﺭْ ﻟِﻲ ﺍﻟﺨَﻴْﺮَ ﺣَﻴْﺚُ ﻛَﺎﻥَ ﺛُﻢَّ ﺭﺿِّﻨِﻲ ﺑﻪ ،
(অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আমি আপনার শক্তির সাহায্যে শক্তি ও আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। কেননা আপনিই ক্ষমতা রাখেন; আমি ক্ষমতা রাখি না। আপনি জ্ঞান রাখেন, আমার জ্ঞান নেই এবং আপনি অদৃশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত। হে আল্লাহ! আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ (নিজের প্রয়োজনের নামোল্লেখ করবে) আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত জীবনের জন্য কিংবা বলবে আমার দ্বীনদারি, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে কল্যাণকর হলে আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন। সেটা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং তাতে বরকত দিন। হে আল্লাহ্! আর যদি আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার দ্বীনদারি, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে কিংবা বলবে, আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য অকল্যাণকর হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে দিন এবং সেটাকেও আমার থেকে ফিরিয়ে রাখুন। আমার জন্য সর্বক্ষেত্রে কল্যাণ নির্ধারণ করে রাখুন এবং আমাকে সেটার প্রতি সন্তুষ্ট করে দিন।”[সহিহ বুখারী (৬৮৪১) এ হাদিসটির আরও কিছু রেওয়ায়েত তিরমিযি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমাদে রয়েছে]
ইবনে হাজার হাদিসটির ব্যাখ্যায় বলেন:
ﺍﺳﺘﺨﺎﺭﺓ (ইস্তিখারা) শব্দটি ﺍﺳﻢ বা বিশেষ্য। আল্লাহ্র কাছে ইস্তিখারা করা মানে কোন একটি বিষয় বাছাই করার ক্ষেত্রে আল্লাহ্র সাহায্য চাওয়া। উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে ব্যক্তিকে দুটো বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয় বাছাই করে নিতে হবে, সে যেন ভালটিকে বাছাই করে নিতে পারে সে প্রার্থনা।
তাঁর কথা: “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সর্ববিষয়ে ইস্তিখারা করা শিক্ষা দিতেন” : ইবনে আবু জামরা বলেন, এটি এমন একটি আম (সাধারণ); যার থেকে কিছু একককে খাস (বিশেষায়িত) করা হয়েছে। কেননা ওয়াজিব ও মুস্তাহাব কর্ম পালন করার ক্ষেত্রে এবং হারাম ও মাকরূহ বিষয় বর্জন করার ক্ষেত্রে ইস্তিখারা করা যাবে না। তাই ইস্তিখারার গণ্ডি সীমাবদ্ধ শুধু মুবাহ বিষয়ের ক্ষেত্রে এবং এমন মুস্তাহাবের ক্ষেত্রে যে মুস্তাহাব অপর একটি মুস্তাহাবের সাথে সাংঘর্ষিক; সুতরাং দুইটির কোনটা আগে পালন করবে কিংবা কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা পালন করবে সেক্ষেত্রে। আমি বলব: এ সাধারণটি বড় ছোট সকল বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। কারণ অনেক ছোটখাট বিষয়ের উপর অনেক বড় বিষয়ও নির্ভর করে থাকে।
তাঁর কথা: “উদ্যোগ নেয়”: ইবনে মাসউদের হাদিসে এসেছে, যখন তোমাদের কেউ কোন কিছু করার সংকল্প করে, তখন সে যেন বলে।
তাঁর কথা: “সে যেন দুই রাকাত নামায আদায় করে... ফরয নামায নয়”: এ বাণীর মাধ্যমে উদাহরণস্বরূপ ফজরের নামাযকে বাদ দেয়া হয়েছে...। ইমাম নববী তাঁর ‘আল-আযকার’ গ্রন্থে বলেছেন: উদাহরণস্বরূপ যদি যোহরের সুন্নত নামাযের পরে, কিংবা অন্যকোন নামাযের সুন্নতের পরে কিংবা সাধারণ নফল নামাযের পরে ইস্তিখারার দোয়া করে...। তবে আপাত প্রতীয়মান হচ্ছে যে, যদি ঐ নামাযের সাথে ইস্তিখারার নামাযেরও নিয়ত করে তাহলে জায়েয হবে; নিয়ত না করলে জায়েয হবে না।
ইবনে আবু জামরা বলেন, ইস্তিখারার দোয়ার আগে নামায পড়ার রহস্য হল, ইস্তিখারার উদ্দেশ্য হচ্ছে একসাথে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ করা। আর এটি পেতে হলে রাজাধিরাজের দরজায় নক করা প্রয়োজন। আল্লাহ্র প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাঁর স্তুতি জ্ঞাপন ও তাঁর কাছে ধর্ণা দেয়ার ক্ষেত্রে নামাযের চেয়ে কার্যকর ও সফল আর কিছু নেই।
তাঁর কথা: “অতঃপর সে যেন বলে”: এর থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, এ দোয়াটি নামায শেষ করার পরে পড়তে হবে। এমন একটি সম্ভাবনাও রয়েছে যে, এক্ষেত্রে ক্রমধারা হবে নামাযের যিকির-আযকার ও দোয়াগুলো পড়ার পরে সালাম ফিরানোর আগে ইস্তিখারার দোয়াটি পড়বে।
তাঁর কথা: ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺇﻧﻲ ﺃﺳﺘﺨﻴﺮﻙ ﺑﻌﻠﻤﻚ এখানে ﺏ হরফটি করণাত্মক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এ ব্যাখ্যার আলোকে অর্থ হবে, ‘আমি আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি; যেহেতু আপনি অধিক জ্ঞানী’। এবং ﺑﻘﺪﺭﺗﻚ এর মধ্যেও ﺏ হরফটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। (সেক্ষেত্রে অর্থ হবে, আমি আপনার কাছে শক্তি প্রার্থনা করছি; কারণ আপনি ক্ষমতাবান।) আবার ﺏ হরফটি ﺍﺳﺘﻌﺎﻧﺔ বা সাহায্য অর্থেও ব্যবহৃত হতে পারে। (সে ক্ষেত্রে অর্থ হবে ‘হে আল্লাহ্! আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি’। দ্বিতীয় বাক্যের অর্থ হবে, ‘আমি আপনার শক্তির সাহায্যে শক্তি প্রার্থনা করছি’।)
তাঁর কথা: ( ﺃﺳﺘﻘﺪﺭﻙ) অর্থ হচ্ছে, উদ্দেশ্য হাছিলে আমি আপনার কাছে শক্তি প্রার্থনা করছি। আরেকটি অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা হচ্ছে- আমি আপানার কাছে প্রার্থনা করছি- আপনি আমার তাকদীরে সেটা রাখুন। উদ্দেশ্য হচ্ছে- আপনি আমার জন্য সেটা সহজ করে দিন।
তাঁর কথা: ( ﻭﺃﺳﺄﻟﻚ ﻣﻦ ﻓﻀﻠﻚ ) (অর্থ- আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি)। এ বাক্যের মধ্যে এদিকে ইশারা রয়েছে যে, আল্লাহ্র দান হচ্ছে তাঁর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ। তাঁর নেয়ামত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাঁর উপর কারো কোন অধিকার নেই। এটাই আহলে সুন্নাহ্র অভিমত।
তাঁর কথা: ( ﻓﺈﻧﻚ ﺗﻘﺪﺭ ﻭﻻ ﺃﻗﺪﺭ، ﻭﺗﻌﻠﻢ ﻭﻻ ﺃﻋﻠﻢ ) (অর্থ- কেননা আপনিই ক্ষমতা রাখেন; আমি ক্ষমতা রাখি না। আপনি জ্ঞান রাখেন, আমার জ্ঞান নেই): এ কথার দ্বারা এদিকে ইশারা করা হয়েছে যে, জ্ঞান ও ক্ষমতা এককভাবে আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ্ বান্দার জন্য যতটুকু তাকদীর বা নির্ধারণ করে রেখেছেন এর বাইরে বান্দার কোন জ্ঞান বা ক্ষমতা নেই।
তাঁর কথা: ( ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺇﻥ ﻛﻨﺖ ﺗﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﻷﻣﺮ ) (অর্থ, হে আল্লাহ! আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ। অপর এক বর্ণনায় এসেছে, ‘নিজের প্রয়োজনের নামোল্লেখ করবে’): ভাবপ্রকাশের বাহ্যিক শৈলী থেকে বুঝা যাচ্ছে প্রয়োজনটি উচ্চারণ করবে। আবার এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, দোয়া করার সময় মনে করলেও চলবে।
তাঁর কথা: ( ﻓﺎﻗﺪﺭﻩ ﻟﻲ ..) (অর্থ- আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন): অর্থাৎ আমার জন্য সেটা বাস্তবায়ন করে দিন। কিংবা অর্থ হবে আমার জন্য সেটা সহজ করে দিন।
তাঁর কথা: ( ﻓﺎﺻﺮﻓﻪ ﻋﻨﻲ ﻭﺍﺻﺮﻓﻨﻲ ﻋﻨﻪ ) (অর্থ, তবে আপনি তা আমার থেকে ফিরিয়ে নিন এবং আমাকেও তা থেকে ফিরিয়ে রাখুন): অর্থাৎ সে বিষয়টি ফিরিয়ে নেয়ার পরে আপনার অন্তর যেন সেটার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে না থাকে।
তাঁর কথা: ( ﺭﺿِّﻨﻲ...) (অর্থ আমাকে তাতে সন্তুষ্ট রাখুন)। যেন আমি সেটা না পাওয়াতে ও না ঘটাতে অনুতপ্ত না হই। কেননা আমি তো চূড়ান্ত পরিণতি জানি না। যদিও আমি প্রার্থনাকালে সেটার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলাম...।
এ দোয়ার গূঢ় রহস্য হচ্ছে যাতে করে বান্দার অন্তর সেই বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে না থাকে; পরিণতিতে সে মানসিক অস্বস্তিতে ভুগবে। সন্তুষ্টি বলতে বুঝায় তাকদীরের উপর অন্তরের স্বস্তি পাওয়া।
হাফেয ইবনে হাজার কৃত সহিহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে সংক্ষেপে সমাপ্ত। অধ্যায়: ‘কিতাবুত তাওহীদ; উপ-অধ্যায়: ‘দোয়াসমূহ’।
ইস্তেখারার শর্ত
1. নিয়্যাত করা।
2. প্রয়োজনীয় সকল চেষ্টা করা। অর্থাৎ ওয়াসিলা গ্রহণ করা।
3. আল্লাহর হুকুমে খুশী থাকা
4. শুধুমাত্র হালাল কিংবা বৈধ বিষয়ে ইস্তেখারা করা।
5. তাওবা করা, অন্যায় করে কিছু গ্রহণ না করা, হারাম উপার্জন না করা, হারাম মাল ভক্ষণ না করা।
6. যে সব বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে অর্থাৎ বিষয়টি তার ইচ্ছার অধীনে সেসব বিষয়ে ইস্তেখারা না করা।
ইস্তেখারা স্বপ্নে নয়
অধিকাংশ মানুষ এটা ধারণা করে যে, ইস্তেখারার নামাজের পর তাকে স্বপ্ন দেখানো হবে এবং সে সঠিকপথ নির্দেশিত হবে। এটি একটি প্রচলিত ভুল। তার উচিত হবে কোন একটই সিদ্ধান্তকে অগ্রগণ্য করে তারপর বিষয়টিকে আল্লাহর উপর সোপর্দ করা। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, যখন তোমরা কোন বিষয়ে দৃঢ ইচ্ছা করবে তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করবে। -আয়াতঅতএব এরপর কোন বিষয় যদি তিনি সহজ করে দেন তাহলে সেটা ঠিক আছে আর যদি তা না হয় তাহলে এটা আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিত অন্য কিছু নয়।
বিবাহের ক্ষেত্রে ইস্তেখারা
এসবের ক্ষেত্রে ইস্তেখারার ব্যপারে সুন্নাহ রয়েছে। তবে সবার প্রথমে প্রয়োজন উসিলার ব্যবহার। অর্থাৎ নিজের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করার পর বাকীটা আল্লাহর হাও্যালায় দিয়ে দেওয়া।
তথ্যসূত্র
টেমপ্লেট: ﻣﺮﺍﺟﻊ
1. ↑ ﺍﻟﺮﺍﻭﻱ : ﺳﻌﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻭﻗﺎﺹ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺍﻟﺴﻴﻮﻃﻲ - ﺍﻟﻤﺼﺪﺭ : ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ - ﺍﻟﺼﻔﺤﺔ ﺃﻭ ﺍﻟﺮﻗﻢ : 8252

মন্তব্যসমূহ